শরীফ আহমেদঃ
রাজধানীর ডেমরায় মাদরাসায়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) এর ৪৫ জন হাফেজ ও হাফেজার পাগড়ী প্রদান ও ২০২৪-২০২৫ সালের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ডেমরা মধুবাগ এলাকার বালুর মাঠে জাঁকজমক পূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পালিত হয় হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি হাফেজ মাওলানা মোঃ মূসা খান।
উক্ত পাগড়ী প্রদান ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন,ইতমিনান বালিকা হিফজুল কুরআন মাদ্রাসার ইনচার্জ লিপি প্রধান,মাদরাসায়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) বাঁশেরপুল শাখার ইনচার্জ হাফেজ মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আবু সাঈদ, মধুবাগ শাখার হাফেজ মাওলানা কুরবান হোসাইন রব্বানী,
হাফেজ মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, এতিমখানা শাখার হাফেজ মাওলানা মতিউর রহমান, শান্তিবাগ শাখার হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া, হাফেজ মাওলানা এমদাদ, বাঁশের ফুল শাখার হাফেজ মাওলানা ফাহিম, প্রকাশনা বিভাগের হাফেজ মাওলানা হুমায়ুন, প্রশিক্ষণ বিভাগের মাওলানা সাইফুল, পরিদর্শক মাওলানা আব্দুর রহমান।
উল্লেখ থাকে যে,মাদরাসায়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের সঙ্গে সাফল্য অর্জন করছে।
প্রতিষ্ঠানটি স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার সমন্বয়ে যুগোপযোগী কারিকুলাম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অভিভাবকদের চাহিদাকে সামনে রেখে বাংলা গণিত ইংরেজির পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণীতে হাফেজে কোরআন তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে মাদরাসায়ে আবু হুরায়রা (রাঃ)।
এই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শাখায় ১২ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। পঞ্চম শ্রেণীর পর ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষা ক্রম অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ফলে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। এখান থেকে পাস করার পর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।