ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব
বিশেষ প্রতিবেক : রাজধানীর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা ডেমরা থানার রসুলনগর এলাকায় নারীদেরকে দিয়ে দেহব্যবসা ও মাদক ব্যবসার এক অভয়ারণ্যের রামরাজত্ব গড়ে তুলেছে, রাম রাজা (ওরফে) রাজু তালুকদার নামে এক ব্যক্তি।
প্রশ্ন হলো, রাম রাজা রাজু তালুকদার? ডেমরা থানাধীন রসুলনগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে তার এই রমরমা মাদক ও নারী ব্যবসার হাউৎসব।
জানা গেছে মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতা রাজু তালুকদারের স্থায়ী বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নওপাড়া গ্রামের শেখের হাট এলাকায়।
উল্লেখ্য স্বামী পরিত্যাক্ত নুরজাহান কোন এক মহিলার ঘটনাচক্রে পরিচয় হয় সামাদের সাথে, অতঃপর প্রণয় পরিশেষে সুসম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে।
তখনো রাজু তালুকদার ছিল কিশাের এবং অবহেলায় অনাদরে বেড়ে ওঠা সামাদের ঘরে আজকের পরিপূর্ণ যুবক এই রাজু তালুকদার।
হাইস্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে কলেজে ভর্তি হলেও জীবন/জীবীকার ঘানি টানতে হয় তার ছাত্র জীবনর শুরু থেকেই।
রাজুর বয়স ৩০ বছর হতে না হতেই বিয়ে করেছে চার ৪টি ইতি মধ্যেই ৩ স্ত্রী বিদায়ও হয়েছে, তার নির্যাতনের শিকার হয়ে।
তার স্ত্রীদের মধ্যে একজন ঝালকাঠী জেলা আদালতে নারী ও শিশ্ত নির্যাতন দমন আইনে সুবিচারের আশায় মামলা দায়ের করেছেন।
রাজুর শেষ পর্যন্ত জীবন জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নেয় ইয়াবা ও নারীদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসার।
বিগত প্রায় ৩ বছর পূর্ব হতে রসুলনগরের জসিম মেম্বারের বাড়ীর পেছনে জিলানীদের বাড়ীর নিচ তলা, সেকান্দারের পুরানোে বাড়ীর দ্বিতীয় তলা এবং বামৈল ও বাশেরপুল এলাকায় সুরক্ষিত ফ্ল্যাট বাড়িতে চলছে রাজুর অপরাধ মুলক অসামাজিক কর্মকান্ড এবং নারীদেরকে দিয়ে দেহব্যবসা ও মাদক ব্যবসা।
নির্ভরযােগ্য সূুত্রে জানা যায় প্রায় ১ বছর পূর্বে রাজু তার সন্ত্রাসী সহযােগীদের নিয়ে বেশ কিছুদিন পূর্বে রাত ১১ টার সময় আলী দপ্ততির বাসায় অনাধিকার প্রবেশ করে এবং আলী ও তার স্ত্রী রত্নাকে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে জোর পুর্বক তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নাটকীয় কায়দায় ইয়াবা সেবক করায়।
আতঃপর রাজু পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গােপনে ঘটনার ভিডিও ধারন করে, এবং রাত ১২ টার মধ্যে আলীর বাসা হতে চলে যায়।
পরবর্তীতে রাজু রত্নাকে গােপন ভিডিওর কথা জানায় এবং ১ লক্ষ টাকা না দিলে ধারনকৃত ভিডিও ফেইসবুকে পােস্ট করার হুমকি দেয়।
ফলে রত্না আতংকিত হয় এবং ৩ কিস্তিতে রাজুকে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করে। আরও জানা যায় সম্প্রতিক কালে অপরাধী রাজু রত্নার নিকট আরও টাকা দাবী করে। এতে রত্না রাজী না হওয়ায় কিছুদিন পূর্বে রাজুর ধারনকৃত ভিডিও চিত্রটি রাজু তালুকদার তার ফেইসবুক আইডি হতে পােস্ট করে।
ফলে সমাজে আলী দপ্তরি সমাজের চোখ হেয় প্রতিপন্ন ও অপুরনীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে আমেনা বেগম রত্না (৪৫) বাদী হয়ে সাইবার অপরাধ আইনে রাজু ও তার বন্ধু সাব্বিরের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেন।