এআর হানিফঃ
শরীয়তপুর জেলার পদ্মা দক্ষিণ থানাধীন হাজী সদন আলী মাদবর কান্দির বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা পিতা মৃত আব্দুল হামেদ মোল্লার ৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে মাদ্রাসা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর, বায়েজিদ মোল্লা, জুনায়েত মোল্লার গংদের বিরুদ্ধে । উক্ত জমি দখলকে কেন্দ্র করে গত ২২ শে আগস্ট তারিখে রাত্র আনুমানিক ১১.৩০ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উক্ত বিষয়ে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা বাদী হয়ে শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, পদ্মা দক্ষিণ থানা সহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা নন্দিত টিভিকে বলেন আমার ৩২৩ দাগে বসতবাড়িসহ ১৯ শতাংশ জমি রয়েছে এর মধ্যে ৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক মাদ্রাসা নির্মাণ করার জন্য দখল করে নিয়ে যায় প্রভাবশালী সন্ত্রাসী আবু বক্কর গংরা। গত ২২ ই আগস্ট তারিখে আবু বক্কর ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে কাছে ৫ হাজার টাকার চাঁদা দাবি করে। আমি তাদের দাবিকৃত ৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করলে কথা কাটির এক পর্যায়ে তারা আমার উপর এবং বাড়িঘরে হামলা চালায়। আমার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়।হামলা কারীদের সাথে ছিলেন মোঃ শওকত হাওলাদার তিনি পদ্মা সেতু দক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগের সেক্রেটারি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় থেকে এই জমিটি দখল করতে চাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে পদ্মা দক্ষিণের থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এলাকাবাসী আমার কাছে এ বিষয়ে কথা বলতে এসেছিল। আগামী ১৪ তারিখ রবিবার এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।