নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ডেমরা থানার অর্ন্তভুক্ত ৭০ নং ওর্য়াডের সাবেক পলাতক কাউন্সিলর রতন চেয়ারম্যানের আপন ভাই আতিকুর রহমান আতিক ৫ ই আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডে আন্দোলন দমন করতে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের হাসিনার অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীদের দুহাতে অর্থ প্রদান করেছেন। সূত্রমতে জানা যায় যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র জনতার উপর গুলি চালাতে তৎকালীন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনকে ২০ লক্ষ টাকা ডোনেশন প্রদান করেন রতন চেয়ারম্যানের ভাই সাবেক কাউন্সিলর আতিক। ৫ ই আগস্ট এর পর ছাত্র-জনতার হত্যা মামলায় আসামী হয়ে দেশ ত্যাগ করেন সাবেক কাউন্সিলর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোষর রতন চেয়ারম্যানের আপন ভাই আতিক। আতিক পালিয়ে যাওয়ার পর ফ্রন্টলাইনে আসেন তার ভাই বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান রতন। এখন রতন চেয়ারম্যান তার ভাই আতিকের ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে মামলা থেকে বাচাতে তদবির করছেন। এর প্রমাণস্বরূপ সিটি কর্পোরেশন এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় গত কোরবানি ঈদের গরুর হাটে ইজারা পেয়ে রতন চেয়ারম্যান ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাটের ক্যাশ কাউন্টার সহ সকল কাজকর্মের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। তখন এই ঘটনাটি ডেমরা থানায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। কিন্তু তখন মহানগর কিছু বিএনপির নেতা তার সাথে হাটের পাটনার থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। ডেমরা থানার বিএনপি’র নেতাকর্মীরে সাথে কথা বলে জানা যায় রতন চেয়ারম্যান বিএনপি নেতাকর্মীদের দুর্দিনে তাদের রেখে পালিয়ে আমেরিকায় চলে যায় এবং আমেরিকা থেকে তার ভাই আতিক এর মাধ্যমে তার মতের বাইরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে বিভিন্ন মামলা এবং তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করিয়ে হয়রানি করেন।তারা বলেন রতন চেয়ারম্যান ও আতিক কমিশনার সরকারি অনুমোদন বিহীন আমুলিয়া মডেল টাউন এর নামে বহু নিরীহ মানুষের জায়গা জমি দখল করে নেন। এক ভাই আওয়ামী লীগ আরেক ভাই বিএনপি করার কারণে নিরীহ মানুষজন তাদেরকে কিছুই করতে পারে না। তারা আরো বললেন রতন চেয়ারম্যান এখন বলে বেড়ান আমি ডেমরা থানা বিএনপির সভাপতি হব দরকার হলে আমার মডেলট টাউনে বিএনপি নেতাদের ৫ কাটার করে দশটি প্লট দিব। আমুলিয়া মডেল টাউনে তার তার বাগানবাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে এখনও ভোজ সবার আয়োজন করা হয়।
এদিকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিএনপির রতনের অনুসারীদের শত শত নেতাকর্মীদের অসহায়ত্ব সুযোগ নেন আওয়ামী পুলিশ বাহিনী। তখন রতন চেয়ারম্যানের আচমকা বিদেশে পাড়ি জমানোর বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি তৎকালিন ডেমরা থানা বিএনপি দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদিন রতনে ত্যাগী তৃন্যমুল বিএনপি সহ অংঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা! গত ০৫ আগস্টের পড়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পরে জয়নাল আবেদিন রতন দেশে ফিরে আসেন বর্তমানে দেশে অবস্হান করছেন।এদিকে ডেমরা থানা ৭০ নং ওর্য়াডের বিএনপির দুর্দিনের একজন নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ১৬/১৭ টি বছর এই ডেমরা এলাকায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তৎকালিন বিএনপি সভাপতি জয়লান আবেদিন রতনে সাথে আমরা শত শত নেতাকর্মী বিএনপি রাজনীতি সাথে সক্রিয় থেকে রাজপথে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে বহু মিছিল মিটিং সভা করেছি।ঠিক কয়েকদিন পড়ে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ কিছু বিএনপি কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার হলেন ঠিক তখনই বৃহত্তর ডেমরা থানার কোন নেতাকর্মীদের না জানিয়ে রতন সাহেব গ্রেফতার মামলা হামলা এড়ানো জন্য দ্রুত রাতে আঁধারে বিদেশে সহ পরিবার নিয়ে চলে যান!